যুবলীগের খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে র্যাব।
প্রকাশিত : ০৬:১৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশান থানায় হস্তান্তর করার পর এসব মামলা দায়ের করা হয় বলে পরিদর্শক (অপারেশনস) আমিনুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, মাদক আইন, অস্ত্র আইন এবং মুদ্রা পাচার আইনে ওই তিন মামলা দায়ের করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির প্রভাবশালী নেতা খালেদকে ধরতে অভিযান নামে র্যাব।
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ভেতর থেকে জব্দ করা বিপুল পরিমান বিদেশি মদ। ছবি:আব্দুল্লাহ আল মমীন
বুধবার বিকাল থেকে গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে খালেদের বাসা এবং ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে একযোগে অভিযান শুরু করেন র্যাব সদস্যরা। শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনিতে বেড়ে ওঠা খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি।
কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
আর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ভেতর ছিল জুয়ার সব আয়োজন। ছবি:আব্দুল্লাহ আল মমীন
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ‘ভিআইপিদের জন্য’ জুয়ার বিশেষ কক্ষও বেরিয়ে আসে র্যাবের অভিযানে। ছবি:আব্দুল্লাহ আল মমীন
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের পাশাপাশি ওই এলাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারে গড়ে তোলা একটি ক্যাসিনোতে র্যাবের অভিযান চলে।
এসব অভিযানে মোট ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারোয়ার আলম জানান।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের এক বৈঠকে সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের নানা কাণ্ডের সমালোচনা করেন।
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ভেতরে আটকদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় মোবাইল সেট। ছবি:আব্দুল্লাহ আল মমীন
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ভেতর ছিল জুয়ার সব আয়োজন। ছবি:আব্দুল্লাহ আল মমীন
এরপর যুবলীগ নেতাদের ৬০টি জুয়ার আখড়া বা ক্যাসিনো চালানোর খবর আসে কয়েকটি সংবাদপত্রে। বুধবার তা প্রকাশিত হওয়ার পর চারটি ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলে।
তবে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এই অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযান দেখে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট কয়েক হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে কাকরাইলে সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।