শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

দৃশ্যমান হলো বাংলাদেশ মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজার সৈকত

প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার

বহুল প্রতীক্ষিত সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ-মিয়ানমার চার লেন মৈত্রী সড়ক ক্রমে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।  এ সড়কটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে অর্থনৈতিক করিডোরের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত দুই দেশের মধ্যকার মৈত্রী সড়কটি আগামী ২০১৯ সালের শুরুর দিকে উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার বা বিসিআইএম এর মধ্যে অর্থনৈতিক করিডোর বিনির্মাণে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে বাংলাদেশ উপরোক্ত দেশগুলো ছাড়াও থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপনের কথা বলে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ২০১৫ সাল থেকে বিসিআইএম’র অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চার লেনের মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পের আওতায় ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্য ছিল। এর মধ্যে ২৫০ মিটার মিয়ানমার অংশে এবং বাকি এক হাজার ৭০০ মিটার বাংলাদেশ অংশে। বাংলাদেশ অংশের এক হাজার ৭০০ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে প্রায় শেষ পর্যায়ে।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে শুরু হওয়া এ মৈত্রী সড়কটির নির্মাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশন-এসডাব্লিউওএসএ অধীন কক্সবাজার-১৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটলিয়ান-ইসিবি।

উল্লেখ্য সড়কটি প্রাক্কলনের প্রথম দিকে দুই লেনের ডিজাইন করা হলেও পরে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও নির্দেশে এটি সংশোধন করে চার লেনে উন্নীত করা হয়। চার লেনের দু’পাশে সার্ভিস লেন, ফুটপাতসহ হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আধুনিক ডিজাইনের সড়কটি অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ও সময়ও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রকল্প সংশোধন করে ব্যয় বাড়িয়ে ১১৫ কোটি টাকা করা হয়। সেইসঙ্গে ২০১৮ সালের জুনে কাজ শেষ করার লক্ষ্য পুননির্ধারণ হয়। সম্প্রতি প্রকল্পটি মেয়াদ বাড়িয়ে দ্বিতীয়বার সংশোধনের প্রস্তাব করে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর পিইসি সভায় প্রকল্পটির মেয়াদ না বাড়িয়ে সমাপ্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। এ পর্যন্ত সে অর্থ ব্যয় হওয়ায় ৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকাকে প্রকল্প ব্যয় হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে।