শনিবার   ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৮ ১৪৩২   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রেডসদের মাথায় সোনালি মুকুট

প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ২ জুন ২০১৯ রোববার

কিয়েভে গত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উল্লাস করতেই নেমেছিলেন মোহামেড সালাহ। কিন্তু রামোসের ট্যাকলে চোখ ভিজিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তার। সেই রামোসের শহরে এসেই উল্লাস করলেন মিশর তারকা। উল্লাসে ভাসালেন অল রেডস ভক্তদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহ্যামকে ২-০ গোলে হারালেন তারা।  জয় করলেন সোনালি স্বপ্ন, সোনালি শিরোপা।

রূপকথা সৃষ্টি করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে লিভারপুল এবং টটেনহ্যাম। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিছিয়ে থেকেও লিভারপুল বিদায় করে বার্সাকে। স্পার্সরা আয়াক্সকে। ফাইনালেও দারুণ লড়াইয়ের আভাস ছিল। কিন্তু টটেনহ্যাম তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। শেষ দিকে অবশ্য তারা ভালো কয়টা আক্রমণ তোলে। তবে লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার ব্যবধান কমানোর সুযোগ বাঞ্চাল করে দেন।

জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। ভাগ্য ভালো হলে যা হয় আর কি! পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি লিভারপুল তারকা সালাহ। ওই গোলেই শিরোপার কাছে ছুটে যাচ্ছিল অল রেডসরা। যদিও এক গোলে ভরসা মেলে না। টটেনহ্যামও চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। ম্যাচের শেষ সময়ে ৮৭ মিনিটে অরিগি গোল করে স্পার্সদের সেই সুযোগ শেষ করে দেন। নিশ্চিত করে ফেলেন শিরোপা।

এ নিয়ে ১৪ বছর পরে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ছুঁয়ে দেখল লিভারপুল। ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপিয়ান কাপ জিতল। লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপ কোচ হিসেবে শিরোপা খরা ঘুচালেন। অল রেডসদের হয়ে এটাই তার বড় কোন শিরোপা। এর আগে ম্যানসিটির কাছে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই করে লিগ শিরোপা হারান তিনি। এছাড়া টানা চারটি ফাইনালে উঠে হারের রেকর্ড ছিল ক্লপের। সেই শাপমোচনও হলো তার।