সোমবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২০ ১৪৩২   ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

বয়ফ্রেন্ডের প্রতারণায় মডেল রাউধার আত্মহত্যা

প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী, মডেল ও মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আতিফ আত্মহত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (২৯ মে) বিকালে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই’র উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান।

পিবিআই কর্মকর্তার দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়ফ্রেন্ড শাহী ঘনির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল রাউধা আতিফের। কোনও কারণে শাহী ঘনি তার সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে বুঝতে পারেন রাউধা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রাউধা একদফা আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

বিষয়টি জেনে প্রেমিক শাহী তাকে বারবার কল করছিলেন। তবে রাউধা তার ফোন আর ধরেননি। তিনি শাহীকে বিভিন্ন এসএমএস পাঠান। শাহীকে পাঠানো রাউধার শেষ এসএমএস ছিল- ‘ইউ কিলড মি। আই ফিল ডেড। আমার আর কিছুই থাকল না।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী পিবিআই’র উপ-পপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাউধা আত্মাহত্যার মামলাটি অধিককতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদলাত। এরপর থেকে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করি। দীর্ঘ সময়ের তদন্তে মডেলকন্যা রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলেই তথ্য মেলে। এই ঘটনায় হত্যার কোনো আলামত মেলেনি।’

জানা যায়, মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আতিফ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ মেডিকেলের ছাত্রী হোস্টেলের নিজ কক্ষ থেকে রাউধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাউধা লেখাপড়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক মডেল। ২০১৬ সালে খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক ফ্যাশন পত্রিকা ‘ভোগ ইন্ডিয়া’র নবম বর্ষপূর্তি সংখ্যার প্রচ্ছদে মডেল হিসেবে তার ছবি ছাপা হয়। প্রতিটি সংস্থার তদন্তেই তার আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়।
 
তবে রাউধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ বারবারই এই আত্মহতার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।