বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী সমঝোতা হওয়ায় বড় পরিবর্তন এলো ঢাকা-১১ (রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা ও হাতিরঝিল আংশিক) আসনের সমীকরণে। এনসিপির প্রার্থী নাহিদ ইসলামের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই আসন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান।

 

 

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি দীর্ঘ আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ মাস ২২ দিন পর তিনি একটি বড় জবাবদিহিতার দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেলেন। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের সিদ্ধান্তের পর থেকে তিনি এই আসনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের পক্ষে জনমত গঠনে নিরলস কাজ করেছেন।

 

 

আতিকুর রহমান তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি মাঠে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করেছেন। তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন জরিপেও জামায়াতের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন উঠে এসেছিল। তবে সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে এবং নির্বাচনী সমঝোতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

 

তিনি আরও লেখেন:

“আমার ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ আনুগত্য ও আস্থা রয়েছে। ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ গড়তে আমাদের সবাইকে এখন একযোগে কাজ করতে হবে।”

---

 

 

নির্বাচনী প্রচারণায় রাত জেগে পোস্টার লাগানো কর্মী এবং নারী কর্মীদের ত্যাগের কথা আলাদাভাবে স্মরণ করেন আতিকুর রহমান। স্বল্প সময়ে তাঁকে আপনজন হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ঢাকা-১১ আসনের বাসিন্দাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সবশেষে তিনি এনসিপি প্রার্থী নাহিদ ইসলামের জন্য শুভকামনা জানান এবং সবার কাছে দোয়া চান।

 

 

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই আসনে জোটের একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জামায়াতের এই ছাড় দেওয়ার বিষয়টি মূলত ৮ দলীয় জোট ও এনসিপির মধ্যকার আসন সমঝোতারই অংশ। এর মাধ্যমে ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচনী লড়াই এখন নতুন মাত্রা পেল।