শীতে কাঁপছে সারা দেশ: যশোরে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নামল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার
পৌষের শুরুতেই হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে জনজীবন রীতিমতো থমকে গেছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক থেকে ফসলের মাঠ। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শনিবার সকালে যশোরে দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে নৌপথে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মেঘনা নদীতে কুয়াশার কারণে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া কুয়াশার তীব্রতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে সন্ধ্যা নামলেই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে, আগামী ৫ দিন এই কুয়াশা পরিস্থিতি নৌ, সড়ক ও বিমান চলাচলের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
বর্তমানে দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য তাপমাত্রাগুলো হলো:
-
যশোর: ৯.০° সেলসিয়াস (মৌসুমের সর্বনিম্ন)
-
চুয়াডাঙ্গা: ৯.৬° সেলসিয়াস
-
গোপালগঞ্জ: ৯.৮° সেলসিয়াস
-
ঈশ্বরদী (পাবনা): ১০.০° সেলসিয়াস
রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলাতেও হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯° সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
এই ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারছে না, ফলে ঠান্ডার অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে।
হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলোর মানুষ। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ কাজের সন্ধানে বাইরে বের হতে পারছেন না।
পূর্বাভাস: আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কুয়াশার এই দাপট ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আসল শীতের কামড় শুরু হবে জানুয়ারির শুরু থেকে, তখন তাপমাত্রা আরও কমে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
