বৃহস্পতিবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১১ ১৪৩২   ০৫ রজব ১৪৪৭

‘লিডার আসছেন’ স্লোগানে উত্তাল ৩০০ ফিট এলাকা

নাজমুল হুদা

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের ইতি ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) স্বদেশের মাটিতে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট (৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে) এলাকায় এক অভূতপূর্ব উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গতকাল বুধবার রাত থেকেই পুরো এলাকাটি এক বিশাল জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।

 

 

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে সংবর্ধনা মঞ্চ পর্যন্ত মাইলের পর মাইল এখন নেতাকর্মীদের দখলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত—রংপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম থেকে আসা হাজারো মানুষ তীব্র শীত উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটিয়েছেন। নেতাকর্মীদের কণ্ঠে এক সুরে ধ্বনিত হচ্ছে—‘লিডার আসছেন’।

রংপুর থেকে আসা কর্মী রাজু আহমেদ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,

 

“সব কষ্ট ভুলে আমরা এখানে এসেছি উদযাপন করতে। নেতা আসার মধ্য দিয়ে আমাদের ১৭ বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে।”

জামালপুরের রফিকুল ইসলামের কাছে আজকের এই রাতটি ছিল ‘চাঁদরাতের’ মতো আনন্দের।

 

 

বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলমুখী সড়কের উত্তর অংশে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের এক বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। মঞ্চের এলইডি স্ক্রিনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবির ওপর লেখা রয়েছে—‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ও স্পিকার লাগানো ট্রাক দিয়ে সাজানো হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে বুধবার রাতে সংবর্ধনাস্থল পরিদর্শন করেন আইজিপি ড. বাহারুল আলম। পুরো এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিএনপির নিজস্ব বিশেষ সিকিউরিটি টিম (সিএসএফ) মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

 

বিএনপি দলীয় সূত্র ও বিজি-২০২ ফ্লাইটের সিডিউল অনুযায়ী । বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টার মধ্যে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা মঞ্চে আসবেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। মায়ের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি গুলশানের নিজ বাসভবনে ফিরবেন।

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আশা প্রকাশ করেছেন, আজকের এই রাজকীয় সংবর্ধনায় প্রায় ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হবে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন নজির সৃষ্টি করবে।