তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিণত ৩০০ ফিট এলাকা
নাজমুল হুদা
প্রকাশিত : ০৯:৪৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে অর্থাৎ ৩০০ ফিট এলাকা এখন এক জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রিয় নেতা তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে আয়োজিত এই গণসংবর্ধনায় যোগ দিতে তীব্র শীত ও কুয়াশাকে তোয়াক্কা না করেই ঢল নেমেছে মানুষের। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সংবর্ধনাস্থল।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্বরোড মোড় থেকে পূর্বাচলমুখী সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নির্মিত এই রাজকীয় মঞ্চের ওপর বসানো হয়েছে বিশাল এলইডি স্ক্রিন। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবির ওপর বড় করে লেখা রয়েছে— ‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’। পুরো এলাকা ব্যানার, পতাকা, তোরণ ও চোখধাঁধানো আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গতকাল বুধবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। অনেক নেতাকর্মী শীতের তীব্রতার মধ্যেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। সকাল হওয়ার সাথে সাথে স্লোগান, প্ল্যাকার্ড ও মিছিলে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। শুধু রাজনৈতিক কর্মীই নন, কুড়িল, পূর্বাচল ও এয়ারপোর্ট এলাকার সাধারণ মানুষ এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যেও উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
গণসংবর্ধনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া তারেক রহমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিশেষ সিকিউরিটি টিমের সদস্যরাও আগে থেকেই মঞ্চে অবস্থান নিয়ে পুরো এলাকা তল্লাশি করছেন।
লন্ডন থেকে রওনা হওয়া তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি আজ দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে সড়কপথে তাঁর এই মঞ্চে আসার কথা। নেতাকর্মীরা এখন রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় আছেন প্রিয় নেতার ঐতিহাসিক আগমনের মুহূর্তটির জন্য।
