দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান: সপরিবারে দেশের পথে তারেক রহমান
নাজমুল হুদা
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের ইতি ঘটিয়ে জন্মভূমির পথে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটটি এখন ঢাকার পথে। তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উম্মাদনা।
লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট নং: বিজি-২০২) তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। হিথ্রো বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ফ্লাইট ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হন তিনি এবং ৪টা ১৫ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।
তারেক রহমানের এই গুরুত্বপূর্ণ যাত্রায় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন:
-
ডা. জোবাইদা রহমান (স্ত্রী)
-
ব্যারিস্টার জাইমা রহমান (মেয়ে)
-
আবু আবদুল্লাহ সালেহ (মিডিয়া টিম প্রধান)
-
রহমান সানি (ব্যক্তিগত সহকারী)
-
তাবাসসুম ফারহানা
জানা গেছে, পাঁচজনের এই দলের টিকিটের মোট মূল্য ৯ হাজার ৮৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা।
২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। এরপর থেকে দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় তিনি লন্ডনেই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি। মাঝখানে ডা. জোবাইদা রহমান কয়েকবার দেশে এলেও তারেক রহমানের ফেরা হয়ে ওঠেনি। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর আইনি জটিলতা নিরসন হওয়ায় অবশেষে আজ তিনি দেশের মাটিতে পা রাখছেন।
এদিকে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত রুটজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
