কুড়াল হাতে উল্লাস করা মাইনুলসহ গ্রেপ্তার আরও ১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
রাজধানীর শীর্ষ দুই গণমাধ্যম প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত মঙ্গলবার আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত ‘কুড়াল হাতে’ উল্লাস করা সেই যুবক মাইনুল ইসলামও রয়েছেন। এ নিয়ে গত দুই দিনে মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান গতকাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সময় কুড়াল হাতে উল্লাস করা যুবকের নাম মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম। ডিবি পুলিশ তাঁকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। মাইনুলের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়।
একই সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারি মুয়াজ বিন আবদুল রহমানকে। হামলার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। মুয়াজ যুব মজলিসের শরীয়তপুর জেলা শাখার নেতা। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যেটা ৫ আগস্ট করার কথা ছিল, আমরা পারিনি। আজকে সেটা করেছি হাদি ভাইয়ের অসিলায়।’
ডিবি ও সিটিটিসি গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন: ১. নিয়াজ মাহমুদ ফারহান: ফেসবুকে ছবি শেয়ার করে অন্যদের হামলায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২. জাকির হোসেন শান্ত: গফরগাঁওয়ের এই যুবক ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুক লাইভ করে ভাঙচুরের প্রচার চালিয়েছিলেন। ৩. আবদুর রহমান (নোয়াখালী) ৪. মো. জান্নাতুল নাঈম (রংপুর) ৫. মো. ফয়সাল আহমেদ (চাঁদপুর) ৬. জুবায়ের হোসাইন (নোয়াখালী) ৭. মো. আলমাস আলী (ময়মনসিংহ) ৮. জুলফিকার আলী ওরফে সৌরভ (ঢাকার শাহ আলী)
পুলিশ সূত্র জানায়, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি বিশ্লেষণ করে এ পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জন উসকানিদাতা রয়েছেন। ওই রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার পর সন্ত্রাসীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও বাধা দিয়েছিল। এছাড়া ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়েও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এমনকি ডেইলি স্টারের সামনে প্রবীণ সাংবাদিক ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকেও হেনস্তা করা হয়েছে।
তেজগাঁও থানায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে করা পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ২৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
