৪ আসনে জমিয়তের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা
শাহিনুর রহমান
প্রকাশিত : ০৬:১২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার
শতবর্ষী রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ সমঝোতার কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যে সমস্ত আসনে তাদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়েছে, সেখানে বিএনপির প্রার্থী থাকবে না। একইভাবে সারা বাংলাদেশে অন্যান্য আসনে জমিয়তের কোনো প্রার্থী থাকবে না।
যে চারটি আসনে সমঝোতা হয়েছে, সেগুলোতে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হচ্ছেন—নীলফামারী-১ আসনে দলের মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনির হোসাইন কাসেমী, সিলেট-৫ আসনে দলের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনে জুনায়েদ আল হাবীব।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। এখানে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দল ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপি তিনশ আসনের মধ্যে ২৭২ আসনে ইতোমধ্যে দলের প্রার্থীদের নাম দুই দফায় ঘোষণা করেছে। বাকী ২৮ আসনের মধ্যে ৪টি আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনী সমঝোতা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘আজকে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করবে। আমরা তাদের আমাদের দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাআলার কাছে আমরা এই দোয়া করছি যে তাদের এ উদ্যোগ যেন সফল হয়।
বিএনপি মহাসচিব জানান, উনারা (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম) দলের নিজস্ব প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ মার্কায় নির্বাচন করবেন।
বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন সম্পূর্ণভাবে তাদের সহযোগিতা করেন। জনগণ যারা ভোটার আছেন, ওই সমস্ত এলাকায় তারা খেজুর গাছ মার্কায় ভোট দিয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করবেন।
এ সময় জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক তার বক্তব্যে বিএনপির কাছে কিছু দাবী তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কাছে আমাদের এই আবেদন থাকবে, যদি আল্লাহ তায়ালা সরকার গঠনের তাওফিক দেন, তাহলে দেশের জনসাধারণের পাশাপাশি ইসলামি অঙ্গনকে যেন গতিশীল করা হয়।’
জমিয়ত সভাপতি বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ইসলামের যে অবস্থা ঘটিয়েছে, এখান থেকে যেন আমরা উত্তীর্ণ হতে পারি।’
আগত সরকারের জন্য দোয়া জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা এবং অর্থনীতি, সমাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে সুন্দরভাবে চলার জন্য সামনের সরকারকে যেন রাব্বুল আলামিন তাওফিক দান করেন।’
