মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৯ ১৪৩২   ০৩ রজব ১৪৪৭

ভোটের তহবিল চেয়ে জারার পোস্ট, সাত ঘণ্টায় মিললো ১২ লাখ

মোঃ মোসাদ্দেক হোসাইন ইমন

প্রকাশিত : ১০:৪৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ভিডিওবার্তার পর মাত্র সাত ঘণ্টায় ১২ লাখ টাকার বেশি অর্থ সহায়তা পেয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।

 

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে জারা লেখেন, “মাত্র ৭ ঘণ্টায় আপনারা ১২ লাখ টাকারও বেশি পাঠিয়েছেন। এত অভূতপূর্বভাবে আপনারা পাশে দাঁড়াবেন, তা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।”

 

তিনি আরও জানান, তার নির্বাচনী ব্যয়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা। এর মধ্যে ৩৪ লাখ টাকা সংগ্রহ সম্পন্ন হলে ফান্ডরেইজিং কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।

 

ডা. তাসনিম জারা বলেন, রাত ২টার পর বিকাশের নির্ধারিত লিমিট অতিক্রম করায় আপাতত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ডোনেশন গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

 

এর আগে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য জনগণের সহায়তা চান। ভিডিওতে জারা বলেন, একজন প্রার্থী আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা বা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা খরচ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে অনেক প্রার্থী ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেন এবং পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভিন্ন তথ্য দেন। এই অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি তিনি করতে চান না বলেও স্পষ্ট করেন।

 

তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, আইনসম্মত সীমার বাইরে এক টাকাও খরচ করবেন না। জারা বলেন, উচ্চ ব্যয়ের রাজনীতির কারণে নির্বাচিত হওয়ার পর চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি ‘বাধ্যতামূলক’ হয়ে দাঁড়ায়, যা রাজনীতিকে সাধারণ মানুষের হাতছাড়া করে দেয়।

 

ডা. তাসনিম জারা জানান, তার আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী এই আসনে তিনি সর্বোচ্চ ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এই অর্থ তিনি জনগণের কাছ থেকেই সংগ্রহ করতে চান।

 

তিনি আরও বলেন, তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয়ের প্রতিটি হিসাব প্রমাণসহ জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। একটি আসনেও যদি জনগণের সহায়তায় স্বচ্ছভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সৎ ও যোগ্য মানুষ রাজনীতিতে এগিয়ে আসার সাহস পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।