সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৮ ১৪৩২   ০২ রজব ১৪৪৭

‘সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা হঠকারিতা’

তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার

মতের ভিন্নতা বা বিরোধের অজুহাতে কোনো সংবাদমাধ্যম বা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতাকে ‘হঠকারিতা’ এবং ‘নিছক ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক এবং একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

 

গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে রাষ্ট্রদূত মুশফিক তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করেন।

 

 

সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার এই রাষ্ট্রদূত তাঁর পোস্টে লিখেছেন, এ ধরনের ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্যে তিনি দেশে বা বিদেশে দীর্ঘ সময় ধরে কোনো সংগ্রাম করেননি। তিনি উল্লেখ করেন:

 

“এ ধরনের উদ্দেশ্যে দেশে–বিদেশে দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম বা বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে কখনোই নিজেকে উজাড় করিনি। সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের অপতৎপরতাকে ন্যায্যতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

 

 

সাবেক এই সাংবাদিক অতীতে জাতিসংঘ এবং হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মুক্তমতের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে সোচ্চার ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কোনো অপতৎপরতাকে ‘জাস্টিফাই’ বা সঠিক বলে প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই।

 

 

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেই রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই রাতে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ভবনেও ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার পর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।

 

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।