শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের আমির
নাজমুল হুদা
প্রকাশিত : ০৯:৩০ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ রোববার
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই অভ্যুত্থানের বীর সেনানি শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি এ জিয়ারত করেন।
আজ সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে জামায়াতের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা শহীদ হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
জামায়াতের আমিরের সঙ্গে এই সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের একঝাঁক শীর্ষ নেতা ও ছাত্র প্রতিনিধি:
-
মিয়া গোলাম পরওয়ার (সেক্রেটারি জেনারেল)
-
মাওলানা আবদুল হালিম (সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল)
-
মো. মোবারক হোসাইন (কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য)
-
জাহিদুল ইসলাম (ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি)
-
সাদিক কায়েম (ডাকসুর ভিপি)
-
এস এম ফরহাদ (ডাকসুর জিএস)
এর আগে গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মানুষ শরিক হন। হাদির মৃত্যুতে গতকাল সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। জানাজা শেষে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন, অর্থাৎ গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুষ্কৃতকারীরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে মাথায় গুলি করে। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলে। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গতকাল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে এবং শেষ গোসল করিয়ে তাঁকে সংসদ ভবনে জানাজার জন্য নেওয়া হয়েছিল। হাদির এই অকাল প্রয়াণ দেশজুড়ে শোকের ছায়া ও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে।
