শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

হাদি হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল রাজপথ: গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ

নাজমুল হুদা

প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলে কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেন এবং হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

 

 

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলের আগে পল্টন মোড়ে আয়োজিত একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন স্পষ্টভাষী মানুষ। জুলাইয়ের পরও তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজের কণ্ঠস্বর অব্যাহত রেখেছিলেন। অন্যায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করেননি তিনি।”

বক্তারা সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র-জনতা আবারো রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

 

 

বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পল্টন ও শাহবাগ এলাকায় যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। একই দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় পৃথকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস।

 

 

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় একটি রিকশায় থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন শরীফ ওসমান হাদি। চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান।

প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে গত সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ লড়াই শেষে গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।