যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: ফিলিস্তিনসহ ৫ দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৯:৩৬ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে আবারও কঠোর পদক্ষেপ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এবার সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার পাঁচটি দেশ এবং ফিলিস্তিনকে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে এসব দেশ ও ভূখণ্ডের নাগরিকেরা এখন থেকে আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ফিলিস্তিন ছাড়াও যে পাঁচটি দেশ যুক্ত হয়েছে, সেগুলো হলো:
-
সিরিয়া
-
বুরকিনা ফাসো
-
মালি
-
নাইজার
-
দক্ষিণ সুদান
এর আগে গত জুনে আরও ১২টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সেই তালিকায় ছিল—ইরান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
যেহেতু ওয়াশিংটন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নথিতে সরাসরি ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ বা এমনকি ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড’ শব্দটিও ব্যবহার করা হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসনের নথিতে কৌশলগতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—‘পিএ বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ভ্রমণ নথি নিয়ে ভ্রমণের চেষ্টাকারী ব্যক্তিরা’ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যের ওপর গুলির ঘটনা ঘটে, যাতে একজন নিহত হন। এই ঘটনার পর ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘তৃতীয় বিশ্ব’ থেকে অভিবাসনের ওপর ‘স্থায়ী স্থগিতাদেশের’ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়ানোর এই ঘোষণা এল।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রাশিদা তায়েব। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এই ডেমোক্র্যাট নেত্রী অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার মূলত দেশের জনমিতি বদলে ফেলার চেষ্টা করছেন এবং এই নিষেধাজ্ঞা তারই অংশ।
