বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ২ ১৪৩২   ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

তরুন কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করছে দেশের সর্বস্তরের জনতা।

 

 

আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এসময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এর আগে ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়।

 

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

রাষ্ট্রপতিকে তিন বাহিনীর প্রধানরা স্বাগত জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ভোর ৬টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

 

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসও শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। তাঁর সঙ্গে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিকসহ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পূব আকাশে সূর্য ওঠার আগেই কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে হাতে লাল-সবুজের পতাকা আর হৃদয়ে দেশপ্রেম নিয়ে হাজির হন হাজারও মানুষ।

 

বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ সকাল থেকেই শহীদ বেদীতে ফুল দিতে ভিড় করেন। সবার কণ্ঠে ছিল অসাম্প্রদায়িক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অনেকে। শিশুদের মাথায় জাতীয় পতাকা এবং গালে আঁকা আল্পনা বিজয়ের আমেজকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।