বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ২ ১৪৩২   ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

বিজয় দিবসে তারেক রহমানের বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের প্রধান প্রয়োজন হিসেবে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এই বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—"আমরা সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো।"

 

 

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো এই বাণীতে তারেক রহমান দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের দিনটিতে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

  • তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সালাম জানান।

  • তারেক রহমান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর জাতির গৌরব, অহংকার ও আত্মত্যাগের এক মহাকাব্যিক দিন।

 

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর বাণীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য, অর্থাৎ শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয় বারবার ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর দুঃশাসনে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র রুদ্ধ করে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

 

তিনি উল্লেখ করেন:

  • টানা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।

  • বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জনগণের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালানো হয়েছিল।

  • গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করা অবিসংবাদিত নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল।

 

 

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ‘২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে এক নিষ্ঠুরতম একনায়কের পতন ঘটে। এর ফলে দেশে আবারও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

তিনি মনে করেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই সময়ের দাবি।

 

বাণীর শেষে তিনি দেশবাসীর প্রতি ঐক্য, সহনশীলতা ও মানবিকতার আহ্বান জানান এবং একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান।