বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন যে, নির্ধারিত সময়েই দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনে তিনিও দেশের জনগণের সঙ্গে থাকবেন।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। আলোচনা সভাটি রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

তারেক রহমান তাঁর বক্তৃতায় স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অপব্যাখ্যা করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের রং এবং রূপ পরিবর্তন হলেও তাদের চরিত্র একই রয়ে গেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, "একটি চক্র নিজেদের স্বার্থে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল। সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পরাজিত একটি চক্র এখন নতুন ইতিহাস তৈরির চেষ্টা করছে।"

 

 

তারেক রহমান দৃঢ়ভাবে মত দেন যে, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো রাষ্ট্রযন্ত্রই ক্ষমতাশালী হতে পারে না। তিনি বলেন, "কখনোই জনগণকে ক্ষমতাহীন করে রাষ্ট্রযন্ত্র ক্ষমতাশালী হতে পারে না।"

তিনি দেশের স্বার্থবিরোধী একটি চক্র নির্বাচনবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করেন। সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে সেই ষড়যন্ত্রেরই শিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, "হাদির ঘাতকেরা লুকিয়ে আছে তাদের আড়ালে, যারা বর্তমান সরকার এবং নির্বাচনকে ব্যর্থ করতে চায়।"

 

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভয় দেখিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, কিন্তু ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি কর্মীদের সাহস জুগিয়ে বলেন, "বিজয়ের মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটবেই।"

তিনি মনে করিয়ে দেন, আগামী নির্বাচনটি কেবল অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য নয়, বরং এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা। পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব সুসংহত রাখাও আগামী নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বলে তিনি দাবি করেন।