‘না’ বলার সাধ্য ছিল না: টানা ছয় ফ্লপেও কাজ ছাড়েননি প্রিয়াঙ্কা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৭:৩৭ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
আলো ঝলমলে আন্তর্জাতিক তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জীবনের আড়ালে ছিল এক কঠিন সংগ্রাম। বলিউডে শুরুর দিনগুলোতে তিনি টানা ব্যর্থতা সত্ত্বেও কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেননি। গতকাল বুধবার আবুধাবিতে ‘ব্রিজ সামিট ২০২৫’-এ বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা তাঁর ক্যারিয়ারের সেই সংগ্রামগুলো খোলাখুলি তুলে ধরলেন, যা শুনে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন।
বলিউডে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রিয়াঙ্কাকে কী ধরনের মানসিক চাপ নিতে হয়েছে, তা তাঁর কথায় স্পষ্ট:
“এমনও সময় গেছে, এক বছরে ছয়টা ছবি করেছি এবং ছয়টাই ফ্লপ হয়েছে। তারপর দেখি, আমি যে ছবিগুলো করতে চেয়েছিলাম, সেগুলো করতে শুরু করেছে অন্যরা।”
তিনি জানান, তাঁর কাজের বাঁকবদল কখনোই পছন্দের ওপর ভিত্তি করে হয়নি। বরং তা ছিল 'বাঁচার তাগিদে' নেওয়া কঠিন সিদ্ধান্ত। সেই সময় তিনি শুধু ভাবতেন, "এবার কী করব?"
ক্যারিয়ারের শুরুতে 'না' বলতে না পারার অসহায়ত্ব প্রিয়াঙ্কাকে পরিবার থেকেও দূরে সরিয়ে দিয়েছে। কাজ পাওয়ার সেই কঠিন সময়ে আসা কোনো সুযোগই তিনি হাতছাড়া করতে পারতেন না। তিনি বলেন,
“যখন ক্যারিয়ার শুরু করেছি, ‘না’ বলার মতো অবস্থা আমার ছিল না। কাজ পাওয়া ছিলই কঠিন। তাই যা সুযোগ এসেছে, সবই নিয়েছি। ছুটে বেড়িয়েছি এক দেশ থেকে আরেক দেশে। পরিবারের বহু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেও থাকতে পারিনি।”
বলিউডের পর হলিউডেও তাঁর সংগ্রাম শেষ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে পপ মিউজিক ও অভিনয় শুরু করার পর তিনি জাতিগত স্টেরিওটাইপের শিকার হন। তিনি জানান, বহু বছর ধরে তাঁকে লড়তে হয়েছে এমন একটি চরিত্রের জন্য, যেখানে তিনি কেবল একজন আমেরিকান নারী হিসেবে পরিচিত হবেন, কোনো জাতিগত পরিচয়ে সীমাবদ্ধ থাকবেন না।
তবে দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ প্রিয়াঙ্কা তৃপ্ত। এখন তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কোনটা তাঁকে মানায়, কোনটা নয়। তিনি এখন ইচ্ছা করেই 'হ্যাঁ' বলেন, আর সেই হ্যাঁ বলার আগে পরিবারের কথা, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা, এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের কথা ভাবেন।
প্রিয়াঙ্কার এই অকপট স্বীকারোক্তি বিশ্বজুড়ে তাঁর ভক্তদের কাছে তাঁর এই সাফল্যের আসল মূল্যটা তুলে ধরল।
