হিরো আলমকে প্রার্থী হিসেবে চায় ৪ দল
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করলেই জাতীয় রাজনীতিতে যেন অনিবার্যভাবেই চলে আসে আলোচিত-সমালোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের নাম। বগুড়ার মাঠ থেকে শুরু করে উপনির্বাচন পর্যন্ত প্রতিবারই তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তবে এবার দৃশ্যপট আরও বড়। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের চারটি ভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁকে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা কেবল হিরো আলমের ব্যক্তিজীবনের সাফল্য নয়, বরং দেশের বর্তমান নির্বাচনী রাজনীতির এক নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দেয়। যেখানে গ্ল্যামার, বিতর্ক এবং জন-সংযোগের মতো বিষয়গুলো প্রথাগত রাজনীতির চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রথাগত রাজনীতিতে হিরো আলমের হয়তো কোনো শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি নেই, কিন্তু তাঁর রয়েছে তিনটি দুর্লভ সম্পদ:
-
ব্যাপক জন-সংযোগ: তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যন্ত পরিচিত মুখ।
-
সহানুভূতি ভোট: বিভিন্ন সময়ে হয়রানি ও তীব্র সমালোচনার শিকার হওয়ায় তাঁর প্রতি সাধারণ ভোটারদের একটি অংশের মধ্যে গভীর সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
-
আকর্ষণ: বিতর্কিত হলেও তিনি গণমাধ্যম এবং নির্বাচনী প্রচারে ভিড় টানতে পারদর্শী, যা যেকোনো দলের জন্য প্রচারণার দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যবান।
এই চারটি দলের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না হলেও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে যে দলগুলো মূলত ছোট বা মাঝারি সারির হতে পারে, যারা ভোটের মাঠে দ্রুত পরিচিতি ও সমর্থন বাড়াতে চায়।
-
দলগুলো হয়তো চাইছে, হিরো আলমকে প্রার্থী করে তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয়ভাবে প্রচারের আলো নিজেদের দিকে টেনে আনতে।
-
কেউ কেউ মনে করছেন, এর মধ্যে ছোট কিছু ইসলামী দল বা বামপন্থী দলও থাকতে পারে, যারা গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে ভিন্নভাবে নিজেদের তুলে ধরতে চায়।
হিরো আলমকে প্রার্থী হিসেবে চাওয়ার মধ্য দিয়ে দলগুলো হয়তো নীরবে বার্তা দিতে চাইছে যে, তাদের রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণকে তারা স্বাগত জানায়, প্রথাগত রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকুক বা না থাকুক।
এ বিষয়ে হিরো আলম বা আগ্রহী দলগুলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে এই খবরটি নিঃসন্দেহে দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বড় চমক হিসেবে কাজ করছে। এখন দেখার বিষয়, হিরো আলম কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই থাকবেন, নাকি কোনো একটি দলের প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লড়াইয়ে নামবেন। তাঁর সিদ্ধান্তই হয়তো দেশের রাজনীতিতে আগামী দিনের বিতর্ক ও প্রচারণার দিকনির্দেশনা দেবে।
