২৯ দলের বৈঠকের পর বিএনপির ওপর চাপ বাড়ছে
নাজমুল হুদা
প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মেরুকরণ যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই বিএনপির নেতৃত্বাধীন বা বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে আগ্রহী ২৯টি শরিক দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, জোটের ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও নির্বাচনী কৌশল চূড়ান্ত করতে বিএনপির সঙ্গে দ্রুত একটি 'ফয়সালা' করা হবে। এই পদক্ষেপ জোট রাজনীতিতে নতুন তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে এই শরিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে ৫ আগস্টের পর রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়ায় এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা ঘনিয়ে আসায় জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শরিকদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ২৯ দলের এই বৈঠক সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দ্রুত একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরি করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের নাম, কাঠামো এবং মূলনীতি ঘোষণা করা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলগুলো কীভাবে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নেবে এবং আসন বণ্টন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর মতো শক্তিকে মোকাবিলা করতে জোটের আদর্শিক অবস্থানকে সুসংহত করা।
শরিক দলগুলোর এই সিদ্ধান্ত বিএনপির ওপর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে যখন বিএনপি একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা এবং জামায়াতে ইসলামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তখন এই ২৯ দলের সমর্থন ধরে রাখা বিএনপির জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২৯টি শরিক দল যৌথভাবে বিএনপির সঙ্গে দ্রুত ফয়সালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২৯ দলের বৈঠকের পর এখন সবার দৃষ্টি বিএনপির দিকে। দ্রুতই এই দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হতে পারে এবং সেখানেই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৯ দলের এই ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার চিন্তা শরিকদের মধ্যে নেই। এই ফয়সালা সম্পন্ন হলে তা নির্বাচনে বিএনপির শক্তি ও জনসমর্থনকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেবে। দ্রুত জোটের ফয়সালা হলে আসন বণ্টন ও নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করার কাজ শুরু হবে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।
