আইএলও কনভেনশন ১৯০ বাস্তবায়ন-ন্যায্য রূপান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
শ্রমিকদের অধিকার ও শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলবে মানবাধিকার
আজ ১০ ডিসেম্বর, বুধবার ২০২৫ ইং, সকাল: ১১:০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স এর যৌথ উদ্যোগে আইএলও কনভেনশন ১৯০ বাস্তবায়ন-ন্যায্য রূপান্তর, শ্রমিকদের অধিকার ও শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলবে মানবাধিকার শীর্ষক শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালী।
সমাবেশে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার, গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি ও এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স-বাংলাদেশ কমিটির সদস্য সচিব মোসাঃ সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি সেলিনা হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের সভাপতি খাদিজা বেগম, গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাকিব খান, সংগঠক শরীফ হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্য মোসাঃ সুলতানা বেগম বলেন, আজকের এই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে আমরা একত্রিত হয়েছি একটি দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে শ্রমিকের মর্যাদা রক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ন্যায্য রূপান্তরের মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, আইএলও কনভেনশন ১৯০: সহিংসতা ও হয়রানি মুক্ত কর্মক্ষেত্রের নিশ্চয়তা সহিংসতা ও যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ প্রতিটি শ্রমিকের জন্মগত অধিকার। সরকার যেন কনভেনশন-১৯০ বাস্তবায়ন করে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নীতি ও অভিযোগ ব্যবস্থাকে জোরদার করে, গার্মেন্টসসহ সকল শ্রম খাতে হয়রানি বিরোধী কমিটি বাধ্যতামূলক এবং নারীকর্মীদের সুরক্ষায় জিরো-টলারেন্স নীতি কার্যকর করা হয়।
ন্যায্য রূপান্তর (ঔঁংঃ ঞৎধহংরঃরড়হ): প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে শ্রমিক সুরক্ষা। বিশ্ব শিল্প যেমন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তেমনি প্রয়োজনে প্রযুক্তিগত রুপান্তরের প্রভাব থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষা আমাদের দাবি। নতুন প্রযুক্তি আসার আগে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, পুনঃদক্ষতা ও উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া, চাকরি হারানো শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তৈরি কর্মপরিকল্পনায় শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করবে।
মানবাধিকার রক্ষার প্রথম শর্ত হলো ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ও সংগঠনের স্বাধীনতা। ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ করে জীবিকাপযোগী মজুরি নিশ্চিত, কাজের সময়, ওভারটাইম, সাপ্তাহিক ছুটি এবং মাতৃত্বকালীন সুবিধা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রমিকের অধিকার রক্ষার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হলো সংগঠন। কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করে, শ্রমিকদের কণ্ঠস্বরকে রাষ্ট্র ও মালিকের কাছে পৌঁছে দেয় এবং শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষায় গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ, শক্তিশালী ও কর্মক্ষম ট্রেড ইউনিয়ন। যা শ্রমিকের কথা বলে, শ্রমিকের অধিকার রক্ষা করে এবং মানবাধিকারের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব দেয়।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণ্যাঢ্য র্যালী জাতীয় প্রেসক্লাবের কদম ফোয়ারা মোড় হয়ে তোপখানা রোড প্রদক্ষিন করে।
