৭০ ওভারের ক্লান্তি: ইচ্ছাকৃত ভুল করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব?
মোঃ মাহাবুবুর রহমান রাব্বি
প্রকাশিত : ০২:৪০ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জাতীয় দল থেকে দীর্ঘ দিন দূরে থাকার পেছনের কারণ—অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা—নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালে সারের হয়ে খেলার সময় তিনি ‘কিছুটা ইচ্ছাকৃতভাবেই’ বেআইনি উপায়ে বোলিং করেছিলেন।
সাকিবের এই অবৈধ অ্যাকশন রিপোর্ট হওয়ার পরই তাঁকে বোলিং থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রযোজ্য হয়।
অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সাকিবের মন্তব্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি জানান, সেই সময় অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকেই তিনি এমনটি করেছিলেন।
-
ঘটনার সূত্রপাত: সাকিব বলেন, "আমার মনে হয় আমি কিছুটা ইচ্ছা করেই এটা করছিলাম, কারণ আমি এক ম্যাচে ৭০ ওভারের বেশি বোলিং করেছি। আমি কখনোই কোনো টেস্টে ৭০ ওভার বল করিনি।"
-
ক্লান্তির কারণ: পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুটি টেস্ট খেলে সিরিজ জয়ের পরপরই সারের হয়ে টনটনে সমারসেটের বিরুদ্ধে চারদিনের ম্যাচ খেলতে যান তিনি। তিনি বলেন, "আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম।"
-
কর্তৃপক্ষের ভূমিকা: নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সাকিব জানান, আম্পায়ার অন্তত তাঁকে আগে একটা সতর্কবার্তা দিতে পারত। তবে তিনি অভিযোগ করেননি, কারণ নিয়মে যা আছে, তা করার অধিকার আম্পায়ারদের ছিল।
পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর সাকিব আবার নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ শুরু করেন।
-
সহজ সমাধান: তিনি বলেন, "আমি পরীক্ষা দেখলাম। ভাবলাম, ঠিক আছে, এসবই হচ্ছে। এরপর দুই সপ্তাহ ট্রেনিং করলাম। সারে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে... দুটো সেশন করলাম আর সব ঠিক হয়ে গেল। তখন মনে হলো, ব্যাপারটা তো খুব সহজ।"
-
ফিরে আসা: টানা দুটি পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর, এ বছর লাফবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বোলিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সাকিব পুনরায় বোলিং করার অনুমতি পান।
বর্তমানে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা সাকিবের এই স্বীকারোক্তি তাঁর ক্যারিয়ারের বিতর্কিত অধ্যায়গুলোকে নতুন করে সামনে নিয়ে এলো।
