প্রেসিডেন্ট হারজগ: চলমান মামলায় ক্ষমা দেবেন কি?
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৯:৩৫ এএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলমান দুর্নীতি মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ক্ষমা পেলেও তিনি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ‘না’ বলে এই ঘোষণা দেন।
তবে তাঁর এই ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন ইসরায়েলের রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক ও সঙ্কট তৈরি করেছে, যেখানে সাধারণত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হলে ক্ষমা দেওয়ার কোনো নজির নেই।
গত মাসেই নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাঁর আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন যে, ঘনঘন আদালতে হাজিরা দিতে হওয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুর স্বাভাবিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এবং তাই একটি ক্ষমা "রাষ্ট্রের জন্যও ভালো হবে।"
তবে আইনজীবীরা আত্মবিশ্বাসী যে মামলা পুরোপুরি শেষ হলে ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।
নেতানিয়াহুর এই আবেদন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
-
ট্রাম্পের চিঠি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগকে চিঠি দিয়ে নেতানিয়াহুর ক্ষমা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
-
বিরোধীদের দাবি: দেশটির বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনো ধরনের ক্ষমা দেওয়ার আগে নেতানিয়াহুকে হয় রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নিতে হবে এবং দোষ স্বীকার করতে হবে, অথবা নির্ধারিত সময়ের (২০২৬ সালের অক্টোবর) আগেই জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
নেতানিয়াহুর এই অনমনীয় অবস্থান ইসরায়েলে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
