উন্নতি নেই, অবনতিও নেই: খালেদা জিয়ার অবস্থার
নাজমুল হুদা
প্রকাশিত : ০৯:১৬ এএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি। কয়েক দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও তাঁর মূল শারীরিক জটিলতাগুলো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তাঁকে বর্তমানে পুরোপুরি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই অনিশ্চিত অবস্থার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সম্ভাব্য তারিখ আরও দুই দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আবারও মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জটিলতাগুলো এখনো ওঠানামা করছে। যদিও কিডনি এবং ফুসফুসের অবস্থার কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেছে, তবে এটি সামগ্রিক ঝুঁকি কমাতে যথেষ্ট নয়।
-
পর্যবেক্ষণ: চিকিৎসকরা ডায়াবেটিসের ওঠানামা, কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং হৃদ্যন্ত্র-সংক্রান্ত জটিলতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
-
স্থিতিশীলতা: চিকিৎসকদের মতে, সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়, আবার অবনতিও হয়নি; তবে তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন।
-
আজকের বৈঠক: গত শনি ও রোববার তাঁর বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসা-পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হতে পারে।
দীর্ঘ যাত্রার ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসকেরা বিদেশে পাঠানোর সম্ভাব্য তারিখ বারবার পরিবর্তন করছেন।
-
নতুন অনিশ্চয়তা: পূর্বে নির্ধারিত ৯ ডিসেম্বরের তারিখও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
-
চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত: বিদেশ পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের ওপর। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, দীর্ঘ যাত্রার ধকল নেওয়ার জন্য তাঁর শারীরিক অবস্থার স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
