‘আয়নাঘরে’ কে দায়ী? জেআইসি গুম মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু
নাজমুল হুদা
প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রোববার
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানিতে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে প্রসিকিউশন। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, গুমের নির্দেশ সরাসরি দিতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতেন।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্যানেলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা ‘আয়নাঘরে’ সংঘটিত গুম ও নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়।
এই মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে তিনজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা আজ সকালে সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
| অভিযুক্তের অবস্থা | অভিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তারা (প্রতিনিধি) |
| গ্রেফতারকৃত ও হাজির | মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী। |
| পলাতক (অভিযুক্তের তালিকায়) | মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, লে. জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আকবর হোসেনসহ উচ্চপদস্থ ৯ কর্মকর্তা। |
-
আইনি পদক্ষেপ: গত ৮ অক্টোবর প্রসিকিউশন মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করলে আদালত তা আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্বেচ্ছায় লড়তে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না দায়িত্ব নিলেও শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তিনি ৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে পলাতক আসামিদের পক্ষে মো. আমির হোসেনকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এই শুনানি এখন দেশের অন্যতম বহুল আলোচিত বিচারিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে, যেখানে রাজনীতির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি অভিযুক্ত।
