আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিএনপির
তরুন কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের প্রার্থী ঘোষণার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। প্রথম ধাপে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর এবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ৩৬টি আসনে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই ৩৬টি আসনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ২৭৩ জনে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর আজ (বৃহস্পতিবার) দলের পক্ষ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নতুন ৩৬টি আসনের তালিকায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে পুরনো এবং নতুন মুখের সংমিশ্রণ দেখা গেছে। নীতিনির্ধারকদের মতে, দ্বিতীয় ধাপের এই তালিকায় দলের ভেতরকার কোন্দল মেটানো এবং 'ক্লিন ইমেজ' ও জনপ্রিয়তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
-
নতুন মুখ: তরুণ ও ছাত্র রাজনীতি থেকে আসা কয়েকজন নেতাকে এবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে কোনো বিতর্ক বা অনিয়মের অভিযোগ নেই।
-
পুরনো ত্যাগীরা: যারা বিগত ১৭ বছরের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে এই ধাপে আসন নিশ্চিত করা হয়েছে।
-
কোন্দল প্রশমন: যেসব আসনে একাধিক প্রার্থীর নাম নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল, সেখানে কেন্দ্রীয় জরিপ ও আলোচনার ভিত্তিতে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির এই ধাপে ধাপে প্রার্থী ঘোষণার কৌশলকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ভিন্ন চোখে দেখছেন।
-
পর্যবেক্ষকদের মত: দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নিয়ে যাতে কোনো বড় ধরনের অসন্তোষ বা বিদ্রোহ সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই বিএনপি নেতৃত্ব পর্যায়ক্রমে এই তালিকা প্রকাশ করছে। এতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটানোর সময় পাওয়া যাচ্ছে।
-
ভোটের প্রস্তুতি: দ্রুত প্রার্থী ঘোষণা করায় মনোনীতরা নির্বাচনের আগে স্থানীয় পর্যায়ে পূর্ণ উদ্যমে প্রচার ও জনসংযোগ শুরু করার সুযোগ পাচ্ছেন।
জানা গেছে, বাকি আসনগুলোর প্রার্থীর নামও খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে এবং চূড়ান্ত তালিকায় কিছু আসনে রদবদল আসার সম্ভাবনা এখনও রয়েছে।
