অ্যাকশন-আবেগ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় ভরপুর রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’
প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
দুই বছরের বিরতির পর রণবীর সিং ফিরছেন বড়পর্দায়। আদিত্য ধরের পরিচালনায় তাঁর নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল। সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় খান্না, আর. মাধবন, অর্জুন রামপাল ও সারা অর্জুনসহ তারকাবহুল অভিনয়শিল্পীর উপস্থিতি, ভারী অ্যাকশন আর রাজনৈতিক রোমাঞ্চ-সব মিলিয়ে ছবিটি মুক্তির আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ছবিটি সম্প্রতি সিবিএফসি থেকে ‘এ’ সার্টিফিকেট পেয়েছে-রণবীরের ক্যারিয়ারে প্রথম। তবে ছাড়পত্র পেতে কয়েকটি সহিংস দৃশ্য বাদ, রাজনৈতিক চরিত্রের নাম পরিবর্তন এবং মাদকবিরোধী সতর্কতা যোগসহ একাধিক সংশোধন করতে হয়েছে।
মুক্তির আগে ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে আইনি বিতর্কও তৈরি হয়। মেজর মোহিত শর্মার পরিবার দাবি করে-গল্পটি বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলে যায় এবং অনুমতি ছাড়া এটি বানানো হয়েছে। পরিচালক আদিত্য ধর স্পষ্ট করেন, এটি পুরোপুরি কল্পকাহিনি। সিবিএফসিও বিস্তারিত পর্যালোচনায় একই মন্তব্য করেছে।
২১৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই সিনেমা গত ১৭ বছরের মধ্যে বলিউডের সবচেয়ে দীর্ঘ চলচ্চিত্র। ট্রেলারে দেখা যায়—রণবীর এক রহস্যময় চরিত্রে, কখনও পাকিস্তানে আন্ডারকভার এজেন্ট, কখনও দুর্ধর্ষ সেনা অফিসার। তাঁর লুক, অভিনয় ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ধরন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে জল্পনা চলছে-চরিত্রটি কি মেজর মোহিত শর্মা দ্বারা অনুপ্রাণিত?
অর্জুন রামপাল ট্রেলারে প্রতিপক্ষের ভূমিকায় দাপট দেখিয়েছেন-যা পাকিস্তানি জঙ্গিনেতা ইলিয়াস কাশ্মীরির ছায়া মনে করিয়ে দেয়। আর. মাধবন রয়েছেন ‘র’-এর একজন সিনিয়র অফিসার হিসেবে।
অ্যাকশন, আবেগ, রাজনৈতিক উত্তেজনা, তারকাবহুল কাস্ট, সেন্সর বিতর্ক—সব মিলিয়ে ‘ধুরন্ধর’ এখন বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমাগুলোর একটি। এখন দেখার বিষয়-সাড়ে তিন ঘণ্টার এই দীর্ঘ যাত্রা দর্শকদের কতটা ধরে রাখতে পারে।
