গাকৃবিতে আন্তঃঅনুষদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
“ভাবনার শক্তিতে গড়ে ওঠা, গৌরবের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতা”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃঅনুষদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল। উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি অনুষদের মোট ৮টি দল অংশ নেয়। চার রাউন্ডের ট্যাবুলেশন শেষে সেরা চারটি দল সেমিফাইনালে ওঠে। উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ফাইনালে মুখোমুখি হয় কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের দল ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ এবং বন ও পরিবেশ অনুষদের ‘সংশপ্তক’।
ফাইনাল পর্বে ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ বিলম্বিকরণ জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী’ শীর্ষক সাংসদীয় মোশনে দুই দলই উপস্থাপন করে যুক্তি-তর্ক ও বিশ্লেষণভিত্তিক চমৎকার লড়াই। প্রতিটি বক্তব্যে ফুটে ওঠে তরুণ ডিবেটারদের মেধা, প্রজ্ঞা ও যুক্তিবোধ।
তীব্র লড়াই শেষে বিচারকদের মূল্যায়নে বিজয়ী হয় ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ দল।ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন ‘সংশপ্তক’ দলের আন্না মারিয়া ফাল্গুনী ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল হন ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ দলের ফাতেমা তুজ জোহরা ফাইনাল রাউন্ডে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গাকৃবি ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান। বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাকিম বিল্লাহ, মাহবুব হাসান রিফাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাতুল ইসলাম শাফি এবং ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল্লাহ্ মৃধা, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম। পুরো অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হান।
ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করে উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন,
“বিতর্ক চর্চা শিক্ষার্থীদের যুক্তিবোধ, যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা, নেতৃত্বগুণ ও ইতিবাচক মনন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাকৃবির শিক্ষার্থীরা যে বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের।”
এরপর তিনি বিজয়ী দলসহ সকল অংশগ্রহণকারীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করেন। অতিথিবৃন্দ আয়োজনের পেশাদারিত্ব, শিক্ষার্থীদের যুক্তিকৌশল ও প্রস্তুতির প্রশংসা করেন।
সবশেষে, এই প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক চর্চাকে আরও সমৃদ্ধ ও সুসংগঠিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপস্থিত অতিথিরা।
