দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বন্যা: মৃত্যু ৭০০ ছাড়াল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ১ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার ও ডিটওয়াহের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, কোটি কোটি ক্ষতিগ্রস্ত। ত্রাণকর্মীরা এখনো প্লাবিত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী:
- ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ৪৪২ জন মারা গেছেন, ৪০০ জনের বেশি নিখোঁজ। পশ্চিম সুমাত্রা, আচেহ ও উত্তর সুমাত্রায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি।
- থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ১৬২ জনের মৃত্যু, প্রায় ৩০ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত।
- মালয়েশিয়ায় ২ জনের মৃত্যু।
- শ্রীলঙ্কায় ৩৩৪ জনের মৃত্যু, ৫ লাখের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এটি ২০০৪ সুনামির পর সবচেয়ে বড় দুর্যোগ।
মালাক্কা প্রণালিতে সৃষ্টি বিরল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের ফলে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চলছে। ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল তাপানুলি ও সিবোলগায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সমুদ্রপথে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। কিছু এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে, কিন্তু রাস্তাঘাট পরিষ্কার না হওয়ায় চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
চুরি ও লুটপাটের ভয়ে অনেকে ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। সুমাত্রায় কয়েক জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে, ত্রাণ না পৌঁছানোয় এমন হচ্ছে।
ফিলিপাইনসে বন্যায় অনেকের মৃত্যুর পর দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ চলছে। বন্যা প্রতিরোধে বরাদ্দ কোটি ডলার গায়েবের অভিযোগে ম্যানিলায় সমাবেশ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস জুনিয়রের পদত্যাগ দাবি করছেন বিক্ষুব্ধরা।
ভারত শ্রীলঙ্কায় সাহায্য পাঠিয়েছে ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’র মাধ্যমে। সারা অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা চলছে, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
