বলিউডে অল্প বয়সেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রিয়া সেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফাল্গুনী পাঠকের ‘ইয়াদ পিয়া কি আনে লগি’ মিউজিক ভিডিও তাঁকে রাতারাতি পরিচিত করে তোলে। এরপর ‘স্টাইল’, ‘ঝংকার বিটস’, ‘আপনা সাপনা মানি মানি’সহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। তামিল, হিন্দি, বাংলা—সব মিলিয়ে দুই দশকের ক্যারিয়ারে তার ঝুলিতে রয়েছে ৩০টির বেশি সিনেমা।

 

সাফল্যের ধারাবাহিকতার মাঝেই ধীরে ধীরে গতি কমে যায় রিয়া সেনের বলিউড ক্যারিয়ারে। সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কারণ খোলাখুলিভাবে তুলে ধরলেন তিনি। রিয়ার ভাষায়,

 

“আমি যে চরিত্র করছিলাম, তাতে আমি স্বচ্ছন্দ ছিলাম না। সবকিছুই নির্ভর করত গ্ল্যামার, পোশাক আর মেকআপের ওপর। অল্প বয়সে ‘সাহসী অভিনেত্রী’ নামে তকমা দেওয়া আমাকে আঘাত করেছিল।”

 

২০০৫ সালে ব্যক্তিগত একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনাও তাঁর ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলেছিল। অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়, ধীরে ধীরে কমতে থাকে কাজের পরিমাণ। এ কারণেই সচেতনভাবেই বলিউড থেকে দূরে সরে যান রিয়া। তাঁর ভাষায়,

“বলিউডের জন্য ক্ষতি হলেও বাংলা সিনেমার জন্য সেটা লাভ হয়ে দাঁড়ায়।”

বাংলা চলচ্চিত্রে ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘নৌকাডুবি’ (২০১১) দিয়ে রিয়া নতুনভাবে নিজেকে আবিষ্কার করেন। এরপর ‘জাতিস্মর’, ‘হিরো ৪২০’সহ বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করে নিজের শক্তি

ও বহুমাত্রিকতা আবারও প্রমাণ করেন। অভিনেত্রীর মতে,
“বাংলা সিনেমায় আমি আমার নিজের মতো হতে পেরেছি। পরিচালকরা বুঝতে পেরেছেন, আমি কী দিতে পারি।”

 

ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থানও তাঁর ক্যারিয়ারে নতুন দিগন্ত খুলেছে। ‘রাগিণী এমএমএস: রিটার্নস’, ‘পয়জন’, ‘মিসম্যাচ’—এমন বিভিন্ন ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে দর্শকের কাছে নতুন রূপে ফিরেছেন রিয়া সেন। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় তাঁর নতুন সিরিজ ‘পরিণীতা’।

 

উল্লেখ্য, রিয়া সেন অভিনয়ের ঐতিহ্যময় পরিবার থেকে এসেছেন—বলিউড কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনের নাতনি এবং অভিনেত্রী মুনমুন সেনের মেয়ে তিনি।