আসন ভাগাভাগির শেষ পর্যায়ে ইসলামি আট দল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইসলামি দলগুলোর নির্বাচনি প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। সমঝোতা ও আসন ভাগাভাগির আলোচনায় কিছুটা বিলম্ব হলেও আট দলের ঐক্যজোট নিশ্চিত করেছে—ডিসেম্বরের শুরুতেই তারা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
কোন কোন দল আছে ঐক্যে
জোটে রয়েছে আটটি দল—
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।
এ দলগুলো একযোগে পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনও করছে।
বিলম্বের কারণ
ইসলামি দলগুলোর নেতারা জানান, আন্দোলন, প্রার্থী বাছাই, এবং আসন ভাগাভাগির আলোচনার কারণে প্রার্থী তালিকা প্রকাশে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ডিসেম্বরের শুরুতেই তালিকা ঘোষণা করা হবে।
এখন চলছে সম্ভাব্য আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা। প্রতিটি দল নিজেদের অবস্থান, জনপ্রিয়তা ও মাঠপর্যায়ের শক্তি তুলে ধরছে।
জামায়াত–ইসলামী আন্দোলন: বড় লড়াই
জোটের ভেতরে আসন ভাগাভাগির সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে।
জামায়াত বলছে—তারা ২০০–২৪০টি আসন পর্যন্ত সমঝোতা করতে পারে।
ইসলামী আন্দোলনের দাবি—তাদের ১৫০টি আসনে ভালো অবস্থান রয়েছে এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে সক্ষম।
দুই দলই বলছে—সিদ্ধান্ত হবে জনপ্রিয়তা ও সম্ভাবনার ভিত্তিতে, দলীয় “বড়-ছোট” নয়।
কে কী বলছেন?
ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “আমরা আর জামায়াত সমান সংখ্যায় প্রার্থী দিতে চাই। তবে সবকিছুই সমঝোতার ওপর।”
জামায়াতের নেতারা জানান, “আমাদের লক্ষ্য ২০০’র বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে ঐক্যের স্বার্থে আমরা ত্যাগ স্বীকার করবো।”
জোটের নেতারা আরও বলছেন, যেখানে যেই দলের প্রার্থী শক্ত অবস্থান রাখেন—জোট সেখানেই তাকে গুরুত্ব দেবে।
খেলাফত মজলিসের লক্ষ্য ১০০ আসন
মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জানায়—
তারা ১০০ আসনে নির্বাচন করতে চায় এবং নিজেদের ২৭৪ আসনে প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করেছে।
তবে তারা সমঝোতা করবে কি না, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।
অন্যান্য দলের অবস্থান
নেজামে ইসলাম পার্টি ১০০ আসনে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।
খেলাফত আন্দোলনও আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।
জোটের মূল লক্ষ্য
জোটের শীর্ষ নেতারা বলছেন, “কে কত আসনে লড়বে—এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, কে কয়টি আসনে জিততে পারবে।”
সেজন্য প্রার্থী বাছাইয়ে জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক শক্তি এবং জয়ের সম্ভাবনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সর্বোপরি, ইসলামি দলগুলোর লক্ষ্য—অন্তত কয়েকটি আসনে শক্ত অবস্থান তৈরি করা এবং একীভূত রাজনৈতিক উপস্থিতি দেখানো।
