শনিবার   ২২ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩২   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

হোয়াইট হাউসে বৈঠকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প–মামদানি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ২২ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক শহরের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে চলা প্রকাশ্য রাজনৈতিক বিরোধ সবারই নজরে ছিল। দুজন পরস্পরের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দিয়েছেন, ঠাট্টা–বিদ্রূপ করেছেন, এমনকি মতাদর্শগত বিরোধেও জড়িয়েছেন। তবে স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত প্রথম সামনাসামনি বৈঠকে এই দুই নেতা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ছবি উপস্থাপন করলেন—হাস্যোজ্জ্বল মুখ, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ এবং পারস্পরিক প্রশংসা।

 

বৈঠকে তাঁরা নিউইয়র্ক শহরের অপরাধ দমন, জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

 

রিপাবলিকান দলের ট্রাম্প একজন ধনকুব, আর ডেমোক্র্যাট সোশ্যালিস্ট মামদানি তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি—ব্যাকগ্রাউন্ড ও মতাদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন। অভিবাসন নীতি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি—প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুজনের অবস্থান বিপরীত। তবুও প্রথম বৈঠকে তাঁরা অস্বাভাবিকভাবে সদ্ভাব দেখিয়েছেন।

 

বৈঠকের এক পর্যায়ে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি প্রেসিডেন্টের টেবিলের পাশে দাঁড়ালে, ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প হাসিমুখে তাঁর হাত চাপড়ে দেন—যা কয়েক সপ্তাহ আগের ট্রাম্পের ‘কমিউনিস্ট’ মন্তব্যের সঙ্গে স্পষ্ট বৈপরীত্য তৈরি করে।

 

ব্যক্তিগত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,

“আমি যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি। আমরা চাই নিউইয়র্ক আরও ভালো অবস্থায় থাকুক—এ বিষয়ে আমরা একই জায়গায়।”

 

এদিকে বৈঠকের আগেই ধারণা করা হচ্ছিল যে ট্রাম্প হয়তো আগের মতোই কঠোর মন্তব্য করবেন—যেমনটি তিনি সম্প্রতি কিছু বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বৈঠকটি সব আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়।

 

মামদানি সাংবাদিকদের বলেন,

“আমাদের মধ্যে মতভেদ আছে, কিন্তু এই বৈঠকে আমরা বিরোধ নয়—নিউইয়র্কবাসীর কল্যাণকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। প্রেসিডেন্টের এই মনোভাব সত্যিই প্রশংসনীয়।”

 

দলীয় রাজনীতি পাশে রেখে কাজ করতে রাজি হওয়ায় ট্রাম্পও সন্তুষ্ট। তাঁর ভাষায়,
“তিনি যত ভালো কাজ করবেন, আমি ততই খুশি হব।”

 

বৈঠক শেষে কোনো নীতিগত ঘোষণা না এলেও দুজনই পরিষ্কার ইঙ্গিত দিয়েছেন—নিউইয়র্কের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী নন, বরং ভবিষ্যতে সহযোগী হিসেবে এগোতে চান।