বৃহস্পতিবার   ২০ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

রাফিউল ইসলাম তালুকদার

প্রকাশিত : ০৫:১১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা চলাকালে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ছয় আসামির শাস্তিও অপরিবর্তিত রেখেছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রকাশ করেন। আদালত জানিয়েছে, রায় প্রকাশের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে দণ্ডিত আসামিরা চাইলে আপিল করতে পারবেন।

 

এর আগে ২ জুন একই বেঞ্চ প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানান। পাশাপাশি ছয়জনকে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও বহাল থাকে। যাদের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল আছে তারা হলেন, টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া এলাকার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

 

ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৯ মে।

 

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা। ঘটনার পাঁচ দিন পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আদালতে মামলা করেন। এরপর তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে র‍্যাব, যেখানে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

 

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার রায় দেন। সেখানে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাতজন আসামি খালাস পান। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং দণ্ডিতরা আপিল করেন।