বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

হাসিনার রায়ের দিনই কেন দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’? সন্দেহ মির্জা ফখরুলের

তরুন কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার

দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই ‘মব ভায়োলেন্স’ বা গণপিটুনি সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণা করা হচ্ছে, ঠিক তখনই দেশে মব ভায়োলেন্স তৈরির নেপথ্যে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

 

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

রায়ের গুরুত্ব কমাতে ষড়যন্ত্র?


মির্জা ফখরুল বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার রায় দেওয়া হচ্ছে, তখন অন্যদিকে মবক্রেসি বা ভায়োলেন্স তৈরি করা হচ্ছে। এটা কিসের আলামত জানি না। তবে আমার মনে হয়, ওই রায়ের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে বিশেষ একটা মহল ভিন্নদিকে দৃষ্টি দিতে কাজ করছে।” রাজনৈতিক দলগুলোকে এই বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

 

গণতন্ত্র ও সংস্কার প্রসঙ্গে বার্তা


দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়া থেকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রের পথে ফেরার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজকে যদি কেউ এককভাবে সংস্কারের দাবি করেন, সেটি সংকীর্ণতা ছাড়া কিছুই না। অথচ এই সংস্কারের কথা বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছে।”

 

নির্বাচনই শেষ কথা নয়


মির্জা ফখরুল বর্তমান সময়কে একটি ‘ট্রানজিশনাল পিরিয়ড’ বা ক্রান্তিকাল হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় ঘোষণা হয়েছে, শিডিউল এখনো হয়নি। তবে নির্বাচনই সব শেষ নয়। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” টেকসই রাষ্ট্র গড়তে বিচার বিভাগ, সংসদ, গণমাধ্যম ও প্রশাসনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সেলিমা রহমান, সাইফুল হক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ দলের শীর্ষ নেতারা।