বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বন্ধুত্বের আকাশে আবীরের আলো–জয়ার চোখে এক নির্ভরতার মানুষ

মোঃ মোসাদ্দেক হোসাইন ইমন

প্রকাশিত : ০৯:২৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

বাংলা অভিনয় জগতের দুই দেশেই সমানভাবে সমাদৃত জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান আবারও আবীর চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি নিজের গভীর শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতার কথা জানিয়ে আলোচনায় এসেছেন। পর্দায় তাদের রসায়ন যেমন দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য, তেমনি পর্দার বাইরে বন্ধুত্বও দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি জয়ার কথায় সেই বন্ধুত্ব যেন এক নতুন মাত্রা পেল।

 

জয়া জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে বহু সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করলেও আবীর চট্টোপাধ্যায় তার কাছে আলাদা জায়গায়–একজন নির্ভরযোগ্য, নিরঝঞ্ঝাট এবং অসম্ভব ভদ্র মানুষ। জয়ার ভাষায়, ওর সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা–ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবীর।

 

তিনি বলেন, এত বছর কাজ করেও কখনও দেখেননি আবীর কাউকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছেন বা অযথা সমালোচনা করছেন।

 

সমালোচনাহীন মানুষ বলতে যা বোঝায়, আবীর ঠিক তেমনই। কেউ কষ্ট পেতে পারে–এমন কথা আমি তাকে কখনো বলতে শুনিনি।

 

জয়া স্মরণ করেন তাদের “পুতুল নাচের ইতিকথা” ছবির প্রচারণায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। আবীর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে যা হলো–সবার চোখ যেন এক নিমিষে শুধু তাকে খুঁজে পেল। আমাদের কথা তখন কারও কানে পৌঁছানোরই সময় নেই। আবীরকে দেখেই যেন চোখের ভোজ।

 

জয়া বলেন, ভক্তদের এই ভালোবাসা সামলে নেওয়া যেমন কঠিন, তেমনি আবীর তা দারুণভাবে, ভীষণ সৌজন্যের সঙ্গে সামলে নেন।

 

জয়ার মতে, আবীরের মধ্যে শেখার মতো অনেক কিছু আছে–বিশেষ করে পরিবার ও কর্মজীবনকে একসাথে সামলানোর অসাধারণ দক্ষতা।

 

“সংসার আর ক্যারিয়ার–দুটোই সামলে নেওয়া সহজ নয়। আবীর খুব সুন্দরভাবে সেটা করে। পরিবারকে প্রাধান্য দেয়, আবার কাজেও ১০০% দেয়।”

 

তিনি আরও যোগ করেন, তার মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। আবীরের অনুভূতি মন থেকেই আসে, সেটা কখনোই অভিনয় নয়। আমরা যা পারি না, ও সেটা নিখুঁতভাবে করে দেখায়। পরিবারের সঙ্গে কর্মজীবনের সমন্বয় করা কঠিন–এ কথাটা ও বারবার ভুল প্রমাণ করেছে।

 

জয়া আহসানের এই বক্তব্যে একদিকে যেমন ফুটে ওঠে দুই শিল্পীর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, তেমনি আবীর চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিত্ব, নৈতিকতা ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্তও তুলে ধরে।