মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ক্ষতিপূরণ দাবিতে এমবাপ্পে–পিএসজির দ্বন্দ্ব নতুন মোড় নিল

মোঃ মাহাবুবুর রহমান রাব্বি

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) ও কিলিয়ান এমবাপ্পের বহুদিনের টানাপোড়েন এবার আইনি লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। দুপক্ষই এখন একে অপরের কাছে দাবি করছে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ-যা ইউরোপিয়ান ফুটবলে বিরল একটি ঘটনা।

 

এমবাপ্পের অভিযোগ, তাঁর আগের চুক্তি ভুলভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছিল। তাঁর দাবি অনুযায়ী তা স্থায়ী চুক্তি হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত ছিল। সেই যুক্তিতে তিনি এখন চাইছেন ২৬০ মিলিয়ন ইউরো-বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে অবৈতনিক বেতন, বোনাস, সেভারেন্স, অন্যায়ভাবে বরখাস্তের ক্ষতিপূরণসহ মানসিক হয়রানির অভিযোগ।

 

এর আগে তিনি ৫৫ মিলিয়ন ইউরো বকেয়া পাওনার দাবি করেছিলেন, যা বর্তমান দাবির তুলনায় অনেক কম।

 

অন্যদিকে পিএসজি দাবি করছে আরও বড় অঙ্ক—৪৪০ মিলিয়ন ইউরো, যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ হাজার ২৪০ কোটি। তাদের অভিযোগ, ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ায় ক্লাবটি বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি হারিয়েছে। এছাড়া আল হিলালের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা, ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা, অসৎ আচরণ ও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে।

 

পিএসজির দাবি, এমবাপ্পে প্রায় ১১ মাস ধরে তাঁর চুক্তি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গোপন রেখেছিলেন। ফলে ক্লাব ট্রান্সফারের সুযোগ হারায়। আবার ২০২৩ সালের শেষ দিকে বেতন কমানোর চুক্তিও এমবাপ্পে পরে অস্বীকার করেছেন বলে জানায় ক্লাবটি।

 

এদিকে এমবাপ্পের আইনজীবীদের বক্তব্য, তাঁদের ক্লায়েন্ট শুধুই আইনি অধিকার প্রয়োগ করছেন—একজন কর্মীর মতো যা প্রাপ্য, তাই চাইছেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, পিএসজি ইচ্ছাকৃতভাবে এমবাপ্পেকে ‘লফটিং’ করে মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন রাখে, যা নৈতিক হয়রানির শামিল।

 

২০২৩–২৪ মৌসুমের শুরুর আগে চুক্তি নবায়ন না করায় এমবাপ্পেকে প্রস্তুতি ক্যাম্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে আলোচনা হলে তিনি দলে ফেরেন, কিন্তু সম্পর্ক আর আগের মতো হয়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ফ্রি ট্রান্সফারে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন।

 

মামলাটি এখন ফরাসি আদালতে বিচারাধীন। চূড়ান্ত রায় আসতে পারে আগামী মাসেই।