রাজনৈতিক সনদে প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ ক্ষমতা কমবে
তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদন
প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার
জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ গণভোটে পাস হলে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমবে।
এ আদেশের মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যের সংখ্যা কিছু ক্ষেত্রে সমান হবে, কিছু ক্ষেত্রে সরকারি দলের প্রাধান্য থাকবে, আবার কিছু ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সদস্যদের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। এর ফলে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দল সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা থাকবে না।
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ের পর, সংসদ নির্বাচন থেকে পাওয়া ভোটের অনুপাতে (পিআর) সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হবে। এর ফলে, ক্ষমতাসীন দলদের জন্য সংবিধান সংশোধন করা কঠিন হবে।
এ ছাড়া, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কমিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু সদস্য থাকলেও বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণ হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব
শফিকুল আলম, প্রাক্তন প্রেস সচিব, বলেছেন যে, এই আদেশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আনা হবে, যা সরকারের সমালোচকদের জন্য বড় একটি দিক হতে পারে।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন, এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে বিশেষ ধরনের গঠন প্রস্তাবনা করা হয়েছে, যেখানে সরকারি এবং বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
গণভোটের বিষয়
গণভোটে মূলত ৪টি বিষয় থাকবে:
-
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশন গঠন,
-
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া,
-
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি অনুযায়ী আসন বণ্টন,
-
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির নিয়োগ ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা।
এছাড়াও, সনদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এবং বিরোধীদলীয় নেতা দ্বারা গঠিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেবে।
এ প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কিছু অংশ নিয়ে বিএনপির আপত্তি থাকলেও, অন্যান্য দলগুলোর সমর্থন পেয়েছে।
