উদ্বিগ্ন সরকার আলোচনার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে
তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১০:৫৮ এএম, ৪ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার
		
	জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রস্তাব দিতে হবে। সরকার এই আলোচনার আয়োজন করবে না; দলগুলো ব্যর্থ হলে সরকার নিজ সিদ্ধান্ত নেবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা কোনো আলটিমেটাম দিইনি, আহ্বান জানিয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একক দিকনির্দেশনা দেবে—এই প্রত্যাশা করছি। তা না হলে সরকার সরকারের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া দুটি বিকল্প সুপারিশ অনুযায়ী, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি ও গণভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে **গণভোটের সময় ও পদ্ধতি নিয়েই মূল মতভেদ দেখা দিয়েছে** বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে।
বিএনপি বলছে, নির্বাচনের আগে গণভোট অপ্রয়োজনীয় এবং সরকারের আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। তাদের প্রস্তাব, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। অন্যদিকে **জামায়াতে ইসলামী** ও **এনসিপি** চায়, জুলাই সনদের আদেশ আগে জারি করে নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক, যাতে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা থাকে।
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সংকল্পও পুনর্ব্যক্ত করে।
সোমবারের সভায় গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ—**রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করা**, যাতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়।
 
