অতি বিপন্ন বনরুই ঘিরে আশার আলো
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে অতি বিপন্ন প্রজাতির একটি চীনা বনরুই। তার আগে এর শরীরে বসানো হয়েছিল রেডিও ট্রান্সমিটার।
কোন প্রাণী তা চিনতে না পেরে গ্রামবাসী পিটিয়ে আহত করেছিল; সময়মত উদ্ধার না হলে হয়ত মরেই যেত। নতুন জীবন পাওয়ার পর তার ঠাঁই হয়েছে বনে। এখন বাংলাদেশে রেডিও ট্রান্সমিটার বসানো প্রথম চীনা বনরুই এটি।
এই বনরুইটিকে ঘিরে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন প্রাণী সংরক্ষণবিদরা। তারা বলছেন, আগামী দেড় বছর এই রেডিও ট্রান্সমিটার থেকে বনরুই সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে, যা এই প্রজাতির জীবনযাত্রা, সংখ্যা নির্ধারণ ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত শনিবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সংরক্ষিত এলাকা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয় অতি বিপন্ন প্রজাতির চীনা বনরুইটিকে। তার আগে এর শরীরে বসানো হয়েছে রেডিও ট্রান্সমিটার।
সীমান্তবর্তী পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ার দূরত্ব প্রায় সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার। ঘটনাচক্রে এই দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বনে ঠাঁই পেয়েছে বনরুইটি।
এর শরীরে বসানো রেডিও ট্রান্সমিটার জানান দেবে, বুনো পরিবেশে বনরুইটি কীভাবে অভিযোজন ঘটাচ্ছে আর কতটা পথ পাড়ি দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত বনরুই। বাংলাদেশে যে তিন প্রজাতির বনরুই পাওয়া যায়, তার মধ্যে একটি চীনা বনরুই।
গভীর জঙ্গলের বাসিন্দা আর নিশাচর হওয়ায় বনরুই সম্পর্কে এখনো অনেক তথ্যই অজানা।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের দু-একটি বনে খুব অল্পসংখ্যক বনরুই আছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। উত্তরবঙ্গে মাঝে মাঝে যেসব বনরুই উদ্ধার হয়, বনবিভাগের ভাষ্যমতে যে সব বনরুই দেখা মিলে সেগুলো সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসে।
