১৭ বছর পর ইকবাল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
মোঃ মাহাবুবুর রহমান রাব্বি
প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ৩ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার
১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ঐতিহাসিক ইকবাল স্টেডিয়ামে। আগামীকাল মঙ্গলবার পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের মধ্য দিয়ে আবারও ক্রিকেটের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর হবে এই মাঠ। তবে ম্যাচের উত্তেজনার পাশাপাশি স্টেডিয়ামের দীর্ঘদিনের অবহেলা ও জীর্ণ অবকাঠামো নিয়ে শহরজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রায় দুই দশক ধরে বড় কোনো সংস্কার না হওয়ায় স্টেডিয়ামের ন্যূনতম দর্শকসুবিধাও নেই বলে অভিযোগ ক্রিকেটপ্রেমীদের। গ্যালারির প্রায় ৯০ শতাংশ অংশে বসার আসন নেই, দর্শকদের কংক্রিটের সিঁড়িতে বসে খেলা দেখতে হয়। কোথাও ছাউনি বা ছাদ না থাকায় রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষার ব্যবস্থাও নেই।
আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো, ঐতিহাসিক এই ভেন্যুটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), পাঞ্জাব সরকার বা পাঞ্জাব স্পোর্টস বোর্ডের অধীনে নয়। এটি পরিচালিত হয় স্বাধীন সংস্থা **ইকবাল স্টেডিয়াম ম্যানেজমেন্ট কমিটি (আইএসএমসি)**-র মাধ্যমে, যেখানে সরকারিভাবে মনোনীত ৯ জন সদস্য রয়েছেন—সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আইএসএমসি প্রতিবছর প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ রুপি আয় করে, ব্যয় মাত্র ৩ কোটি ৯ লাখ। স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে শতাধিক দোকান, অফিস, রেস্টুরেন্ট ও বিনোদনকেন্দ্র থেকে আয় সরাসরি আইএসএমসির হিসাবে জমা হয়, প্রাদেশিক কোষাগারে নয়। গত বছর অনুষ্ঠিত **চ্যাম্পিয়নস ক্রিকেট কাপ ২০২৪**-এর আয়োজনেও আইএসএমসি কোনো ব্যয় বহন করেনি; নিরাপত্তা ও লজিস্টিক খরচের পুরো ৩ কোটি ৫০ লাখ রুপি দিয়েছিল পাঞ্জাব সরকার।
এই অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় দর্শক ও ক্রিকেট অনুরাগীদের দাবি, ইকবাল স্টেডিয়ামকে দ্রুত পিসিবির অধীনে আনা এবং লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মতো আধুনিক মানে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
এদিকে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকা দল ফয়সালাবাদে পৌঁছালে বিমানবন্দর থেকে শহরমুখী সব সড়ক অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয় এবং নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
