ভূমিদস্যু মহিন ও তার পরিবারের দৌরাত্ম্য নিয়ে জনমনে ক্ষোভ
তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২৫ রোববার
মনোহরগঞ্জ উপজেলার সামনে অবস্থিত জনতা হোটেলের মালিক মোস্যাফিজের ছেলে মহিনকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন মহিন বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং এসব সম্পর্কের সূত্র ধরে থানা ও উপজেলায় তদবির বানিজ্যে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা সদর এলাকায় হোটেল ব্যবসার সুবাদে মহিন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রভাব বিস্তার করে। এ সুযোগে সে ও তার পরিবার বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে এসব সম্পত্তি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা করে নিরব চাঁদাবাজি চালানোর কথাও শোনা যায়।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মহিন বিএনপি-ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে আগের মতোই দালালি ও তদবির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। পরানপুর এলাকার বাসিন্দা দুলাল জানান, “মহিন ও তার পরিবারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি নিজে। তারা প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ের মাধ্যমে আমাদের ওয়ারিশ সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছে।”
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, মহিন পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ থাকলেও উপজেলা ও থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদের সহযোগিতা করছেন। সম্প্রতি বানঘর এলাকাতেও একই ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, মহিন পরিবারের এই দৌরাত্ম্যের অবসান ঘটাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
