আমি উদার মুসলিম, আমার পরিবারে নামাজও হয়, পূজাও হয়’ — ইমরান হাশমি
প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার
বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি অভিনয় করছেন বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত নতুন ছবি **‘হক’**-এ। ১৯৮৫ সালের বহুল আলোচিত **শাহ বানো মামলা** অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে নারী অধিকার, ধর্মীয় আইন ও সাংবিধানিক ন্যায়ের দ্বন্দ্ব উঠে এসেছে।
ছবিটিতে ইমরানের সঙ্গে রয়েছেন অভিনেত্রী **ইয়ামি গৌতম**। তাঁরা অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ আহমেদ খান ও শাহ বানো বেগম চরিত্রে, যেখানে এক নারীর ন্যায়বিচারের লড়াই ও আদালতসংঘাতের গল্প দেখা যাবে।
এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, “নতুন প্রজন্ম হয়তো শাহ বানো মামলাটি জানে না। এই সিনেমা সেই ঘটনার অনুপ্রেরণায় তৈরি, যেখানে এক নারী নিজের মর্যাদা আর ভরণপোষণের জন্য আদালতে লড়েছিলেন। শাহ বানো বলেছিলেন, ‘আমি মুসলমান, তবে আমি একজন ভারতীয় নারীও।’”
বিতর্কের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, “ছবিটি একেবারেই ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্মিত। আমি নিজে একজন **উদার মুসলিম**। আমার স্ত্রী পারভিন হিন্দু—আমার পরিবারে নামাজও হয়, পূজাও হয়। কোনো সম্প্রদায়কে হেয় করা হলে আমি এই ছবির অংশ হতাম না। ‘হক’-এ আমরা কারও ধর্ম বা বিশ্বাসকে আঘাত করিনি।”
ইমরান মনে করেন, “এই গল্প শুধু মুসলিম সমাজ নয়, বরং ভারতের প্রতিটি নারী ও পুরুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
১৯৭৮ সালে ৬২ বছর বয়সে শাহ বানো ইন্দোর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ মামলা করেন। ১৯৮৫ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাঁর পক্ষে রায় দিলেও রাজনৈতিক চাপে রাজীব গান্ধী সরকার নতুন আইন এনে তা বাতিল করে দেয়।
সেই ঐতিহাসিক মামলার ভিত্তিতেই নির্মিত হয়েছে **‘হক’**। ছবিটি পরিচালনা করেছেন **সুপর্ণ এস ভার্মা**। অভিনয়ে আরও রয়েছেন ভার্তিকা সিং, দানিশ হুসেইন, শিবা চাড্ডা ও আসিম হাতাঙ্গাড়ি। জঙ্গলি পিকচার্সের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন বিনীত জৈন, বিশাল গুরনানি, জুহি পারেখ মেহতা ও হারমান বাওয়েজা।
