শামীমের নাম না তুললেও পারতেন লিটন
মোঃ মাহাবুবুর রাব্বি
প্রকাশিত : ০৬:৫১ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ মঙ্গলবার
সব কথার দর যুক্তিতে বাড়ে না, সব সত্য সবসময় প্রিয়ও হতে পারে না। চরম পেশাদারিত্বের মাঝেও কিছু ‘উচিত’ আড়ালের কৌশল নিতে হয়। কিছু আত্মোপলব্ধি চাপা রাখতে হয় সংশোধনের সম্ভাবনা বাচিয়ে রেখেই।
মঙ্গলবার সাগরিকায় ম্যাচ হারার পর পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস যে মন্তব্য করেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে নিয়ে, তা নিশ্চিতভাবে শামীমের কানে অপ্রিয় শোনায়। ‘শামীম হোসেনের ব্যাটিং নিয়ে আমি খুব হতাশ। তাকে ব্যাপারটি নিয়ে ভাবা উচিত। আপনি সব সময় ক্রিজে এসে ব্যাটিং উপভোগ করতে পারবেন না। আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
শেষ পাঁচটি ম্যাচের তিনটিতে শূন্য, চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ১ রান এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস। শামীমের এই পারফরম্যান্স কোনো অধিনায়কের কাছেই প্রত্যাশিত নয়। তার দায়িত্ব ছিল মিডল অর্ডারে অ্যাঙ্করিংয়ে ভূমিকা পালন করা, কিন্তু শামীম পুল হাঁকাতে গিয়েছিলেন। চার বছর ধরে আন্তর্জাতিক টি২০ খেলছেন, তাই ম্যাচের পরিস্থিতি ও কন্ডিশনকে সম্মান দিয়ে ইনিংস এগিয়ে নেওয়া ছিল তার দায়িত্ব।
লিটন হয়তো সেটাই ইঙ্গিত করেছেন। তবে যেভাবে এবং যে মঞ্চে তা করেছেন, তা অধিনায়ক হিসেবে উপযুক্ত ছিল না। ‘লিটন লাইভ টেলিকাস্টে শামীমের নাম না বললেও পারতেন,’ জানান দলের এক কর্মকর্তা। মিডিয়া থেকে সতীর্থদের আগলে রাখা অধিনায়কের কাজের অংশ, কিন্তু লিটন প্রকাশ্যে শামীমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
এদিন লিটনও সফট ডিসমিসাল হয়েছেন। তানজিদ ৮ বলে ৫ রান করার পর তার পারফরম্যান্সও তেমন উজ্জ্বল ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিটনের মন্তব্য নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। যদিও মাঠে তার অধিনায়কত্ব প্রশংসিত হয়েছে এবং টানা চারটি সিরিজ জিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
শামীমও অসন্তুষ্ট, তাই গতকাল ইনস্টাগ্রামে তিনি লিটন দাসকে আনফলো করেছেন। তবে এটি শোনা জরুরি, এবং আত্মশুদ্ধির জন্য কর্ণপাত করাও প্রয়োজন। ছেলেমানুষি তাড়াহুড়া না করে এবার দায়িত্ব নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
