সোমবার   ২৭ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১২ ১৪৩২   ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

৯৭ দিন হাসপাতালে, ৩৬ বার অপারেশনের পর ঘরে ফিরল নাভিদ

তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাভিদ নেওয়াজ (১২) দীর্ঘ ৯৭ দিন চিকিৎসা শেষে অবশেষে বাড়ি ফিরেছে। রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে ২১ জুলাই ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হওয়ার পর থেকে সে চিকিৎসাধীন ছিল।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন জানান, নাভিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ অংশ দগ্ধ হয়েছিল এবং তার ৩৬ বার অপারেশন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “নাভিদকে আমরা প্রথমে আইসিইউতে ২২ দিন, পরে এইচডিইউতে ৩৫ দিন এবং আইসোলেটেড কেবিনে ৪০ দিন রেখেছি। পুরো চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।”

তিনি আরও বলেন, “রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় উপুড় করে রেখে চিকিৎসা দিতে হয়েছে, যা অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া। অনেককে আমরা হারিয়েছি, কিন্তু নাভিদকে বাঁচাতে পেরেছি—এটি আমাদের সাফল্য।” বর্তমানে আরও পাঁচজন আহত শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাদেরও রিলিজ দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ভবনটিতে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিমানের পাইলটসহ অন্তত ৩১ থেকে ৩৬ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম শেষ মুহূর্তে বিমানটিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে জনবিরল স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, যাতে প্রাণহানি কম হয়। ওই দুর্ঘটনার পর সরকার এক দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করে।