বুধবার   ২২ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ৬ ১৪৩২   ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ‘ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন’ থেকে

আব্দুল রব

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫ মঙ্গলবার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত **‘ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন’ থেকে হয়েছে বলে ধারণা** করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান **এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক**।

 

তিনি বলেন, “আমরা এখনো শতভাগ নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে এমনটা মনে হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করছে, তাদের রিপোর্টের পরেই আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

 

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বেবিচক সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, **আগুন লাগার সময় আনুমানিক ১৫টি ফ্লাইট বিভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছিল**। সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও আটকে পড়া যাত্রীদের সবাইকে পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।

 

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট মাত্র **৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।** পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের দল যুক্ত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”

 

তিনি জানান, **দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়**। প্রথমে টাওয়ার থেকে ধোঁয়া দেখা গেলে দ্রুত ফায়ার ইউনিটগুলো সেখানে পৌঁছে যায়। “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন,” বলেন তিনি।

 

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, “আল্লাহর রহমতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে থাকা বিমানগুলো দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশেই **‘কাট-অফ মেকানিজম’ ব্যবহার করে** আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করা হয়েছে।”

 

তিনি আরও জানান, **প্রায় ৪০টিরও বেশি ফায়ার ফাইটিং ভেহিকল** আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। বাহিনীগুলোর সম্মিলিত ও দ্রুত পদক্ষেপে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বেবিচক চেয়ারম্যান।