শনিবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ৩ ১৪৩২   ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর হামলায় কান্দাহারে নিহত ৪০, আহত অন্তত ১৭৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত : ১১:২২ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ব্যাপক হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ১৭৯ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে আফগান সংবাদমাধ্যম **তোলো নিউজ**।

 

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ হামলা চালানো হয়। স্পিন বোলদাক শহরটি আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত। শহরটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা জানিয়েছেন, নিহত ও আহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক।

 

১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়, যা ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলে। পরে ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিনই পাকিস্তানের বিমান ও স্থলবাহিনী নতুন করে হামলা শুরু করে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী হাজি বাহরাম তোলো নিউজকে বলেন, “এমন বর্বরতা ইতিহাসে দেখিনি। যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে, তারা নারী-শিশুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।”

 

বিমান হামলার পাশাপাশি পাকিস্তানি স্থলবাহিনী নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাক এলাকায় আর্টিলারি হামলা চালায়। এতে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ধ্বংস হয়ে যায়।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাতের মূলে রয়েছে পাকিস্তানের তালেবানপন্থি সশস্ত্র সংগঠন **তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)**। গোষ্ঠীটি আফগান তালেবানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে—আফগান তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে, যদিও কাবুল সরকার এসব অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে।

 

উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের বিমান হামলায় কাবুলে টিটিপি নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ নিহত হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সেই ঘটনার জেরেই নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।