যুদ্ধবিরতি আইসিজে মামলার ওপর প্রভাব ফেলবে না: রামাফোসা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দায়ের করা দেশের মামলার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কেপটাউনের পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
রামাফোসা বলেন, “যে শান্তিচুক্তি হয়েছে, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।” ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গাজায় জাতিগত নিধনের অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশটি ৫০০ পৃষ্ঠার বিস্তারিত আবেদন দাখিল করেছে। ইসরায়েলের পাল্টা যুক্তি জমা দেওয়ার শেষ সময় ২০২৬ সালের ১২ জানুয়ারি। আশা করা হচ্ছে ২০২৭ সালে মৌখিক শুনানি হবে এবং চূড়ান্ত রায় প্রকাশ হতে পারে ২০২৭ সালের শেষ দিকে বা ২০২৮ সালের শুরুতে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইতোমধ্যেই তিনটি অস্থায়ী নির্দেশ জারি করেছে। এর আওতায় ইসরায়েলকে গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো এবং জাতিগত নিধন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তা অনেকাংশেই মানতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, “ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা, ক্ষতিপূরণ এবং পুনরাবৃত্তি রোধের নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো শান্তিই টেকসই নয়।”
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানশেজও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির মানে ইসরায়েলের দায়মুক্তি হতে পারে না। মূল দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করার সুযোগ বঞ্চিত করা যায় না।”
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ কিছু মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় জাতিগত নিধনের অভিযোগ এনেছে। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি তদন্ত কমিশনও এই অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের মামলায় সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি দ্য হেগ গ্রুপ জোটে সহসভাপতিত্ব করছে, যা আইনি, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।