শনিবার   ০৪ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ১৯ ১৪৩২   ১১ রবিউস সানি ১৪৪৭

শুরু হয়েছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, নদীতে নেই কোন জেলে

আবু তাঈম সিজান, গলাচিপা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:১২ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার

 

ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগর সহ দেশের সকল নদীতে ইলিশ আহরণে সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে আজ। গতকাল শুক্রবার (৩রা সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্ব উপকূলে চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচারণা।

জানা যায়, ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণে সারাদেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার ৪১৮ জন। মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময়ে এসব জেলেকে ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলেদের কাছে পৌঁছে যাবে এই খাদ্য সহায়তা।

বছরের এই সময়ে সাগর থেকে নদীর মিঠাপানিতে ইলিশের বিচরণ ঘটে। যার ফলে প্রজনন রক্ষার এ ২২ দিন মাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করলে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।


জেলেরা বলেন, আমরা মৌসুমের প্রথমে কোন মাছ পাইনি, এখন কিছু মাছ পাওয়া শুরু করছি এর মধ্যেই সরকার নিষেধাজ্ঞা দিছে। আমরা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা মেনে জাল-সাভার কিনারায় চলে এসেছি, তবে আমাদের সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা যেন দ্রুত দেয়া হয়, নাহলে আমাদের সংসার চলবেনা। 

আরেক জেলে বলেন, সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা যেন আমরা যারা জেলে আছি তারাই যেন পাই, আমাদের না দিয়ে সাধারণ লোকদের যেন না দেয়া হয় সেদিকেও যেন সরকার নজর রাখে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দৈনিক তরুন কন্ঠ কে বলেন, আমরা জেলায় ৬৯হাজার ৪৩ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা দিবো, আগামীকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে জেলেদের চাল বিতরণ শুরু হবে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শেষ হবে।